আরিফ মঈনউদ্দীন সাক্ষাৎকার
আরিফ মঈনউদ্দীন সাক্ষাৎকার
লাইফ স্টোরি : অনলাইন লাইফ এ কবে থেকে আপনি?
আরিফ : ২০০৯ থেকে... এস.এস.সি'র ঠিক পরপর।
লাইফ স্টোরি : আপনি তো আমেরিকায় থাকেন। তো এস এস সি কোথায় দিছেন?
আরিফ : বাংলাদেশে... চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে।
লাইফ স্টোরি : কলেজ তারপর ভার্সিটি লেভেল এ কোথায় ছিলেন?
আরিফ : ইন্টারের ঠিক পরপর'ই আমি আন্ডারগ্র্যাজুয়েশনের জন্যে আমেরিকায় চলে এসেছি। ভার্সিটি লেভেল বলতে গেলে আমেরিকাতে'ই শুরু
লাইফ স্টোরি : অইখানে আপনি কি পড়ালেখার পাশাপাশি জব করেন?
আরিফ : প্রথম প্রথম দিকে জব করতাম... এখন বিজনেস নিয়ে আছি।
লাইফ স্টোরি : বিজনেস ডিটেইলস?
আরিফ : আমি এবং আমার বড় ভাই মিলে সুপার স্টোর ম্যানেজ করছি... এটুকুই ডিটেইল
লাইফ স্টোরি : বাংলাদেশে কোথায় থাকেন আপনি?
আরিফ : চট্টগ্রামেই... প্রিয় শহর। প্রিয় সব মানুষ-জন
লাইফ স্টোরি : আপনার ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড জানতে চাচ্ছিলাম
আরিফ : আমার বাবা সরকারী চাকরী করতেন... মা এক পর্যায়ে শিক্ষিকা ছিলেন। আমার দুই বোন আছেন.. বড় ভাই আছেন। বোনরা অনার্স-মাস্টার্স, ভাইয়া ইউনিভার্সিটি অফ সেন্ট্রাল ওকলাহোমা থেকে গ্র্যাজুয়েট।
লাইফ স্টোরি : আপনার লাইফ এর ছোট করে বিবরন জানতে চাচ্ছি।
আরিফ : ফার্স্ট অফ অল, আমি আমার লাইফের প্রতিটা মোমেন্ট নিয়েই রিস্ক নিয়েছি... চিন্তা করেছি দেশে বুয়েট বা মেডিক্যালে যাবার চেয়ে বিদেশে ভালো র্যাঙকিং এর কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর্স করে ফিরতে পারলে দেশে সুন্দর ফিউচার হতে পারে।
আমেরিকায় আসার পর থেকে প্রতিটা দিন একেকটা স্ট্রাগল... এমন'ও দিন গেছে ২৪ ঘন্টা টানা কাজ করেছি... পরেরদিন আবার ক্লাসেও গিয়েছি।
কিন্তু হাল ছাড়ি নি।
আমি বিশ্বাস করি লাইফের প্রত্যেকটা মোমেন্ট'ই কিন্তু শেষ মোমেন্ট হতে পারে... উই হ্যাভ টু মেক ইট কাউন্ট.... তাই এমনভাবে বাচা উচিত, যাতে লাইফ নিয়ে কোন রিগ্রেট না থাকে।
আমি ২৩ বছরের জীবনে অনেক কিছুই দেখেছি... পরাজয়, হেরে যাওয়া.. সেখান থেকে নিজেকে আবার সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যাওয়া.. সব।
So You Have to Believe, God Has Sent You Here For a Special Reason... Search for it... Finish It... You'll Find The True Meaning of Life... Never Give Up.
লাইফ স্টোরি : ২৪ ঘন্টা কেনো কাজ করতে হয়েছে আপনাকে?
আরিফ : আমেরিকায় টিউশন ফি যোগাড় করাটা ভয়াবহ কষ্টের... প্রতি সেমিস্টারে ইউনিভার্সিটিতে'ই দিতে হয় ৬ হাজার ডলার। সেটার জন্যে পড়ার পাশাপাশি জব প্রয়োজন... যতো বেশি ঘন্টা কাজ করতে পারবেন, টিউশিন ফি ততো তাড়াতাড়ি যোগাড় হবে।বাসা থেকে আমি কখনোই ফিন্যান্সিয়াল সাপোর্ট নিই নি.. এই জন্যেই।
লাইফ স্টোরি : গান কি আপনি ছোটবেলা থেকে করেন? নাকি এইটা আপনার হবি?
আরিফ : গান একেবারে ছোটবেলা থেকেই করা হয়.. নানান জায়গায় গান শিখেছি বেশ কিছুদিন
লাইফ স্টোরি : ফেইসবুকে আপনি ইদানীং লাইভ এ আসেন , ওইখানে দেখা যায় আপনি সিগার খান , অইটা কেন ? এইটা কি আপনার পেশন নাকি অভ্যাস ?
আরিফ : আমি উপরে যা ভিতরেও তা... আমি মুভি দেখতে দেখতে বা আড্ডায় বসে সিগারেট খাই। ফেসবুক লাইভটাও ওরকম'ই।ওখানে সিগারেট খাওয়াটা তাই কোন দিক থেকে ব্যতিক্রম বা স্পেশাল বলে মনে করি না।
লাইফ স্টোরি : আপনার লাইফ এর এইম কি ? কি করতে চান ? কি হতে চান ?
আরিফ : ফিল্ম মেকার হতে চাই... একজন ভালো ফিল্ম মেকার।
লাইফ স্টোরি : ফেইসবুকে আপনি লিখালিখি করেন ? তো অইগুলা আপনার মাথায় কোথায় থেকে আসে ? এইগুলা কি বাস্থব জীবন থেকেই ?
আরিফ : কিছু অভিজ্ঞতা.. কিছুটা ইমাজিনেশন। সব লেখা'ই তো এভাবেই আসে সবার।
লাইফ স্টোরি : অনেকেই আপনার লিখা কপি করে , যেগুলা নিজের নামে চালিয়ে দেওয়া হয় । আপনি এই সম্পর্কে কি বলবনে ?
আরিফ : এটাতে তারা নিজেদের প্রতিভার অবমূল্যায়ন করে... আমি নিজে লিখতে না পারলে অস্থির হয়ে যায়.. একদিন ভালো লিখতে না পারলে পরেরদিন চেষ্টা করি... তাই বলে অন্যেরটা কপি করে চালিয়ে দিই না।এটা করলে নিজের ভেতরবে প্রতিভাটার ব্যবহার হয় না.. ওটা নষ্ট হতে থাকে।
লাইফ স্টোরি : আপনার পছন্দের কাজ কি ?
আরিফ : ড্রাইভ করা... I Love Driving.
লাইফ স্টোরি : অনলাইন লাইফ এ আপনার সবচেয়ে বড় পাওয়া কি ?
আরিফ : কিছু মানুষের ভালোবাসা... পড়ার জন্যে কোন পাঠক না থাকলে কখনোই লেখা হতো না। ক্ষুদ্র জীবনে এটা অনেক বড় পাওয়া।
লাইফ স্টোরি : আপনার লিখালিখির করার জন্য কারো থেকে উৎসাহ পান ?
আরিফ : হুমায়ূন আহমেদ.. হুমায়ূন আজাদ। কবিদের মধ্যে আবুল হাসান।
লাইফ স্টোরি : আমাদের সম্পর্কে আপনি কিছু বলতে চান ? আমাদের কাজ সম্পর্কে , লাইফ স্টোরিকে কিছু বলবেন ? আমারা কিভাবে কি করতে পারি ?
আরিফ : লাইফ স্টোরিগুলো সবসময়'ই প্রেরণা দায়ক... যারা নিজের লাইফকে এক্সাম্পল বানাতে পেরেছে.. তাদের লাইফস্টোরী সবার কাছে পৌছে দেয়ার দায়িত্বটা সুন্দর। আমি ক্ষুদ্র হয়েও আমার সম্পর্কে জানার আগ্রহ দেখিয়েছেন.. এজন্য ধন্যবাদ।
ফেইসবুকে আমাদের সাইট ও গিকদের স্টোরি পেতে লাইক দিন আমাদের ফেসবুক পেইজে , আপনাদের কিছু জানার থাকলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেইসবুক পেইজ এর মাধ্যমে


No comments:
Post a Comment
Note: Only a member of this blog may post a comment.